করোনা থেকে বাঁচতে থানকুনি পাতা খাওয়ার গুজব!

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় করোনাভাইরাসে থানকুনি পাতা খাওয়ার গুজব
ছড়িয়ে পড়েছে। চরমোনাইর পীর সাহেব স্বপ্নে দেখেছেন- ‌‘থানকুনি পাতা লবন দিয়ে চিবিয়ে খেলে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারবে না’- এমন গুজব মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছড়িয়ে পড়ে। এর ওপর ভিত্তি করে উপজেলার সর্বত্র থানকুনির পাতা খাওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। গুজবে সাড়া দিয়ে কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নারী-পুরুষ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে লাইট জ্বালিয়ে থানকুনি পাতা সংগ্রহে নেমে পড়েন। 

বুধবার ভোর পর্যন্ত অনেকেই মাঠ, পুকুরপাড়, জমির আইল থেকে থানকুনি পাতা সংগ্রহ করেন। অনেকে আবার করোনাভাইরাসে থানকুনি পাতার কার্যকারিতা সম্পর্কে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
কেউ কেউ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়- স্বজনদের ফোন করে থানকুনি পাতা সংগ্রহ ও খাওয়ার কথা জানান। কাশিয়ানী উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিক লিয়াকত হোসেন লিংকন বলেন, ‘অনেকে রাতের আঁধারে পাতা সংগ্রহ করে চিবিয়ে
খেয়েছেন। তাদের দাবি, চরমোনাইর পীরকে স্বপ্নে বলে দিয়েছে থানকুনি পাতা খেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত করতে পারবে না। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনে থানকুনি পাতা সম্পর্কে জানতে লোকজন ফোন
করে। অবশেষে ফোন বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হই।’
চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিমের সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসাইন বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব। এ ধরণের কোন তথ্য আমাদের জানা নেই। একটি মহল পীর সাহেবের নামে গুজব ছড়াচ্ছে।’ কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার- পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাইয়ুম
তালুকদার বলেন, ‘থানকুনি পাতা খেলে ভাইরাসজনিত রোগ ভাল হবে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে এ ধরণের কোন ভিত্তি নেই। তবে আমিও শুনেছি- লোকজন করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে রাত থেকে থানকুনি পাতা খাচ্ছেন।’