Looking back at 2020 International Premises | ফিরে দেখা ২০২০ আন্তর্জাতিক প্রাঙ্গন

এই প্রজন্মের কাছে হয়ত সবচেয়ে বিশাদগ্রস্থ বছর ছিল ২০২০। কারণ, করোনা মহামারীতে প্রায় ঘরবন্দী কেটেছে পুরো বছরটি। থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। তবুও ২০২০ সালকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছর ২০২১ সালকে
স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আমরা। বছরের শেষ প্রান্তে দাড়িয় চলুন ফিরে দেখি এবছর কি কি ঘটল বিশ্বজুড়ে।
মহামারীতে কাবু বিশ্ব


২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। নতুন এই রোগটিকে প্রথমদিকে নানা নামে ব্যাখ্যা করা হলেও ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা" রোগটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কভিড-১৯ যা করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯ -এর সংক্ষিপ্ত রুপ। নতুন এই রোগটিকে প্রথমদিকে "চায়না ভাইরাস", "করোনাভাইরাস ", ২০১৯ এনকভ "রহস্য ভাইরাস" ইত্যাদি নানা নামে ডাকা হচ্ছিল। বিশ্ব স্বস্থ্য সংস্থা ১১ মার্চ ২০২০ কভিড -১৯ প্রাদুর্ভাব বিশ্ব মহামারী ঘোষণা করে। শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুস আক্রমণকারী এই ভাইরাস পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কেড়ে নিয়েছে বহু জীবন,বহু মানুষ দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতার শিকার হয়ে এখনো এই রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করছে।

বছর শেষে ভ্যাকসিন আশার আলো


২০২০ সাল, বছর দরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খেয়েছে বিশ্ব। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন একমাত্র কার্যকর টিকাই পারে এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে। তবে টিকা তৈরিতে অনেক বছর সময় লেগে যায়। তাই খুব দ্রুত কিছু পাওয়ার আশা যেন মানুষ না করে। কিন্তু নবেম্বরের ৯ তারিখে আমেরিকান কোম্পানি ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেক যৌথভাবে টিকা উদ্ভাবনে তাদের সাফল্য ঘোষণা করে জানায়, তাদের টিকা করোনার আক্রমন ঠেকাতে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর। এ ছাড়া রাশিয়া অনুমোদন দেয়। যা ৯২% নিরাপদ। তবে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের টিকার দিকে তাকিয়ে বিশ্ববাসী। এই টিকাটি খুব শিগগিরই অনুমোদিত হবে বলে ধারণা করা করা হচ্ছে।
লকডাউনের ঘরবন্দী মানুষের অন্যজীবন


"বিশ্ব স্বস্থ্য সংস্থা কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবকে বিশ্ব মহামারি ঘোষণার পর লকডাউনের কবলে পড়ে পুরো বিশ্ব। যেসব এলাকা মহামারি আক্রান্ত হয়, সাধারনত সে এলাকায় প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়ার নাম লকডাউন। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউন ও বিধিনিষেধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনীতি স্থবিরে হয়ে পড়ে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ লকডাউনে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। জুন-জুলাই মাসে করোনার প্রথম ঢেউ কমে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু নবেম্বর-ডিসেম্বর শুরু হয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ,এরপর করোনার সংক্রমণ রোধ ও মৃত্যুহার কমাতে বিশ্ববাসী ফের লকডাউনে যেতে শুরু করে।

ট্রাম্পের পরাজয়, বাইডেন- কমলার ইতিহাস


মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনান্ড ট্রাম্পের পরাজয় সব রাজনৈতিক হিসাব পাল্টে দিয়েছে। ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার প্রস্তুতি নিলেও এখনো পরাজয় মেনে নিতে রাজি নন ট্রাম্প। এবার মার্কিন নির্বাচনে আগাম ভোটের রেকর্ড, ব্যালটের মাধ্যমে পাটানো ভোট নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল- সেটিও বিরল। নির্বাচনের পরাজয়ের পর ভোট পুনঃগণনা ও কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প শিবির। তবে আদালত তা খারিজ করে দেয়। ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী কমলা হ্যারিস। এই জয়ে তিনি লিখছেন নতুন ইতিহাস।

ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার আন্দোলন


আমেরিকার মিনিয়াপোলিসে পুলিশ হেফাজতে এক কৃষ্ণঙ্গ আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর জের ধরে ২০২০ সালে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে "ব্ল্যাক লাইভস ম্যারার" আন্দোলন। জর্জ ফ্লোয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। করোনা আতঙ্ক উপেক্ষা করে মানুষ প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভে পথে নামে। বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে জারি করা হয় কারফিউ। আমেরিকায় বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর পৃথিবীর নানা প্রান্তে পৌছে এই প্রতিবাদের ঢেউ। জন্ম নেয় বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন- "ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার"।

বৈরুতে ভয়াবহ বিষ্ফোরণ


"মধ্যপ্রাচ্যের প্যারিস" হিসেবে খ্যাত লেবাননের রাজধানী বৈরুতে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে ৪ আগস্ট ২০২০। রাসায়নিক পদার্থের এক গুদামে বিষ্ফোরণটি ছিল এ শতাব্দীর ভয়াবহতম "অ-পারমাণবিক" বিষ্ফোরণ। পুরো ব্যাপারটা ঘটে মাত্র চার সেকেন্ডের মধ্যে। এ বিষ্ফোরণে রাজধানী ও আশেপাশের এলাকার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে অন্তত দুই শতাধিকের বেশি মানুষ নিহত এবং ছয় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল। বিষ্ফোরণের ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছিল অন্তত তিন লাখ মানুষ। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব গিয়ে দাড়ায় ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে। শহরটির ৫ হাজার বছরের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি আর কখনো তৈরি হয়নি।

বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা,বেকারত্ব, তেলের দরপতন


করোনা মহামারীতে প্রবল ধাক্কা খেয়েছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধি মাইনাস ৪.৪ শতাংশে চলছে। এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা কতদিন সম্ভব হবে তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তায় রয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। ব্যবসা- বাণিজ্যে এত বড় ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে উন্নত, ধনী দেশগুলোও। উৎপাদন কমে গেছে, দীর্ঘ লকডাউনে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। একাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কর্মী ছাটাই হয়েছে ছোট-বড় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের সংখ্যা ছিল উদ্বেগজনক। পুরো বছরজুড়েই তেলের দরপতন বলে দেয় দেশে দেশে অর্থনৈতিক গভীর সংকট তৈরি হয়েছে। গত মাসেও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। মূলত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় এ সংকট।

যুবরাজের রাজপ্রসাদ ত্যাগ


রাজপরিবারে প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের উপাধি ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অব সাচেক্স। কিন্ত ৮ জানুয়ারি তারা ঘোষণা দেন, রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্য হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব থেকে সরে তারা দাড়াচ্ছেন। প্রিন্স হ্যারি গণমাধ্যমকে জানিয়েছন, তারা স্বাধীনভাবে অর্থ উপার্জন এবং ব্রিটেনের পাশাপাশি উত্তর আমেরিকাতেও বসবাস করতে চান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে,রাজপরিবার ও রাজপ্রাসাদের পাশাপাশি ত্যাগ করেছেন রাজকীয় উপাধি ও যাবতীয় সুযোগ - সুবিধাও। নতুন করে জীবন শুরুর তাগিদে পাড়ি জমিয়েছেন কানাডায়।

কিমের মৃত্যু গুজব!


১৫ এপ্রিল উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের গুজব ওঠে, কিম মারাত্মক অসুস্থ বা মারা গেছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরে বলা হচ্ছিল, হার্ট অপারেশনের পর কিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জাপানের সংবাদমাধ্যম জানায়, তিনি অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। আর হংকংয়ের টিভি চ্যানেল এইচকেএসটিভি হংকং এর দাবি,কিম মারা গেছেন। নিউইয়র্ক পোস্ট বলেছে, কিমের মৃত্যুর বিষয়টি গুজব। তবে গুজব রটনার ২০ দিন পর উত্তর কোরিয়ার এক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কিম জং উন উপস্থিত হওয়ার ফলে সেই গুজবের অবসান ঘটে।

বিশ্ব শেয়ারবাজার পতন


৯ মার্চ ২০২০, বিশ্বজুড়ে মহামারীর কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ইউরোপ, এশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া- প্রতিটি অঞ্চলের শেয়ার বাজারে বিরাট ধস দেখা গেছে। ওই দিনটিকে 'ব্ল্যাক মানডে' বলে বর্ণনা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে দাম পড়ে যায় প্রায় ৭ শতাংশ। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে এশিয়া এবং ইউরোপের শেয়ার বাজারও একই পরিস্থিতি ঘটে। ২০০৯ সালে বিশ্বজুড়ে যে আর্থিক সংকট দেখা গিয়েছিল, তারপর এ রকম বিপর্যয় আর শেয়ার বাজারে দেখা যায়নি।

ওয়ার্ক ফ্রম হোম


করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউন ও বিধিনিষেধের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিল বিশ্বের অর্থনীতি। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল একের পর এক সরকারি,বেসরকারি অফিস,বন্ধ রয়েছে বিবিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ একাধিক মল, সিনেমা হল,বাজারসহ একাধিক প্রাইভেট সেক্টর। "ওয়ার্ক ফ্রম হোম" করেই কাজ সারছেন বহু মানুষ। অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্স এবং ভিডিও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে করোনা সংকটের আবহের মধ্যেই অনেক সেরে নেন অফিসের কাজ। পৃথিবীর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এমন দৃশ্য কেউ দেখেনি।

অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি


প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ে অস্ট্রেলিয়া। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন মানুষ। এ ছাড়াও নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ভিক্টোরিয়াজুড়ে ১ হাজার ২০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ব্যাপকভাবে শুরু হওয়া দাবানলে প্রায় সাড়ে ছয় মিলিয়ন হেক্টর ভূমি পুড়ে ছিল। যা মোটামুটি একটা ফুটবল খেলার মাঠের সমান। সে সময় বন্যপ্রাণীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। নিঃশব্দে মারা গিয়েছিল অসংখ্য বন্যপ্রাণী। দাবানলের কারণে নিউ সাউথ ওয়েলসে সাত দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষনা করা হয়েছিল। এর কারনে লোকালয়ে প্রচন্ড গরম অনুভুত হয়েছিল। যা ৩৯ ডিগ্রি থেকে ৪২ ডিগ্রি প্রর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। 

জেনারেলকে হত্যা উড়াল ইরানের লাল পতাকা ইরানের মিসাইলে ধ্বংশ মার্কিন ঘাটি


ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে হামলার পর এ বছরের শুরুতেই মার্কিন রকেট হামলায় মারা যান ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও মাহদি আল মুহানদিস। বাগদাদে বিমানবন্দরের বাইরে এলিট ফোর্সের জেনারেলকে হত্যার কথা স্বীকার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই ইরানে প্রতিশোধে অঙ্গীকার ঘোষণা করে। কম প্রদেশে পবিত্র মসজিদের চূড়ায় উড়ানো হয় লাল পতাকা। সরাসরি যুদ্ধের নিশানা পুরো বিশ্বকে নাড়া দেয়। ইরানে প্রতিশোধের কঠিন হামলা শুরু করে ইরাক ও পার্শ্ববর্তী সীমান্ত বরাবর যেখানে মার্কিন সেনাদের ঘাটি, বিমানবন্দর ছিল। ইরানের মিসাইল হামলায় বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাটি ধুলায় মিশে যায়। বহু মার্কিন সেনা আহত হন। গত কয়েক দশকে মার্কিন ঘাটি লক্ষ্য করে এমন সামরিক হামলা ছিল বিরল। রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের এই সংকট পুরো বিশ্বকে উদ্বিগ্ন করে তোলে। ইরান তার প্রতিশোধ নেওয়া হয়ে গেছে ঘোষণার পর দুই দেশের সামরিক হামলা হ্রাস পায়।

সার্কের ১৪তম মহাসচিব


দক্ষিন এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (SAARC) রীতি অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোর ইংরেজি নামের আধ্যাক্ষর অনুসারে পর্যায়ক্রমে মহাসচিব নির্বাচিত হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী পাকিস্তান থেকে শ্রীলংকা থেকে ১৪ তম মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন শ্রীলঙ্কার কূটনীতিক এসালা ওয়েরাকুন। ১ মার্চ ২০২০ থেকে তিন বছরের জন্য মহাসচিব পদের দায়িত্ব পান এই কূটনীতিক।


ইসরায়েল সম্পর্কে নতুন মোড়


যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১৩ আগস্ট ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঘােষণা ছিল । মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা । নিউইয়র্ক টাইমসের বিখ্যাত কলামিস্ট টমাস এল ফ্রিডম্যান এই ঘোষণাকে ব্যাখ্যা করেন মধ্যপ্রাচ্যের একটি ভূ - রাজনৈতিক ভূমিকম্প । ডােনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন । এর এক মাস পরই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঘােষণা দেয় বাহরাইনও । এর আগে মিসর ১৯৭৯ সালে এবং জর্ডান ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে । ইসরায়েলের জন্য এই দুটি আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মেলানাে ছিল সত্যিকার অর্থেই এক বিরাট অর্জন । তবে , গত অর্ধ শতাব্দী ধরে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ঘুচিয়ে স্বাধীন একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রতি পুরাে আরব বিশ্বের যে ঐক্যবদ্ধ সমর্থন ছিল , এই ঘােষণা আসে তার প্রতি একটা বড় আঘাত হিসেবে ।


ব্রেক্সিট কার্যকর ব্রিটেন


৩১ জানুয়ারি অবশেষে কার্যকর হয় ব্রেক্সিট । ৪৭ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ে যুক্তরাজ্য । এই দিনটি ব্রিটেনের নতুন যুগের উদয় বলে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন । ২০১৬ সালের গণভােটের প্রায় সাড়ে তিন বছর পর কার্যকর হয় ব্রেক্সিট । এ সময় একদিকে যেমন উদ্যাপন অনুষ্ঠিত হয় তেমনি বিক্ষোভও করেছে ব্রেক্সিট বিরােধীরা । ২৪ জানুয়ারি ব্রেক্সিট বিলে স্বাক্ষর করেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ । তারপর ২৯ জানুয়ারি স্থানীয় সময় বিকালে ইউরােপীয় পার্লামেন্টে ঐতিহাসিক ভােটে অনুমােদন পায় ব্রেক্সিট চুক্তি ।


ক্ষমতাধর নারী মেরকেল


যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস । ২০০৪ সাল থেকে প্রকাশ করে আসছে বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকা । ৮ ডিসেম্বর ২০২০ ফোর্বস প্রকাশ করে বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকার ১৭ তম প্রতিবেদন । যে তালিকায় টানা দশমবারের মতাে শীর্ষস্থানে আছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল । তালিকায় যথাক্রমে স্থান পেয়েছেন ত্রিস্তিং লার্গাদ , কমলা হ্যারিস , উরসুলা ভর ডার লেন , মেলিন্ডা গেটস । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান ৩৯ তম । প্রকাশিত তালিকায় এবার ৩০ টি দেশের নারীদের নাম এসেছে । যাদের মধ্যে রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান আছেন ১০ জন । ৩৮ জন বিভিন্ন কোম্পানির সিইও । বিনােদন জগতের পাঁচজনও এসেছেন নতুন এই তালিকায় ।

ফুটবল কিংবদন্তি ম্যারাডােনার বিদায়


আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর ম্যারাডােনা এ বছরই চির বিদায় নিলেন । বিশ্বজুড়ে শত কোটি ভক্ত তার প্রয়াণে চোখের জল ফেলেছে । ম্যারাডােনাকে অনেকেই বলেন ফুটবলের ঈশ্বর । তার খেলায় যে দক্ষতার প্রদর্শনী , গতি , চমৎকারিত্ব আর খেলায় কখন কি ঘটতে পারে তা আগে থেকে বুঝে ফেলার ক্ষমতা ছিল তা ফুটবল ভক্তদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখত । উপমহাদেশ তাে বটেই , সারা বিশ্বে আর্জেন্টিনার ভক্তের আজ যে উন্মাদনা তার স্রষ্টাও তিনি । তার হাত ধরেই ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে ভেসেছিল আর্জেন্টাইন ভক্তরা । ম্যারাডােনা নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আনন্দ - বেদনার বহু স্মৃতি । ফুটবল নৈপুণ্যে তিনি ছিলেন সেরাদের সেরা । মাদক গ্রহণের কারণে বহিষ্কার হয়েছিলেন , কাদিয়েছিলেন ভক্তদের । নারী কেলেঙ্কারি ও নানা বিতর্ক তার নিত্যসঙ্গী । তবুও তাকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের উন্মাদনা এতটুকু কমেনি ।

বেজেছে যুদ্ধের দামামা


নাগারনাে - কারাবাখ । পৰ হামলার জবাবে বিদ্রোহী বাহিনীর ইউরােপে দক্ষিণ ককেশাসের বিরুদ্ধে দেশটির ফেডারেল বিরােধপূর্ণ এলাকাটিকে কেন্দ্র বাহিনীর অভিযান শুরু করে । করে ২৭ সেপ্টেম্বর আবার যুদ্ধ । টিপিএলএফ - এর নেতাদের সঙ্গে শুরু হয় আজারবাইজান ও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর তিক্ত সম্পর্ক আর্মেনিয়ার মধ্যে । দীর্ঘদিনের । সাম্প্রতিক সংঘর্ষে শত আন্তর্জাতিকভাবে এলাকাটি শত মানুষ মারা গেছে এবং হাজার । আজারবাইজানের অংশ হলেও , হাজার মানুষ ঘর ছাড়েন । আর্মেনিয়ার সরকারের সমর্থনে লিবিয়া : লিবিয়ায় জাতিসংঘের জাতিগত আর্মেনীয়রা এটি নিয়ন্ত্রণ সমর্থন পুষ্ট সরকার , বিদ্রোহী করে থাকে । রাশিয়ার মধ্যস্থতায় জেনারেল খলিফা নভেম্বরে শান্তি চুক্তি হলেও তা হাফতারের বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে কার্যকর হয়নি । ছয় সপ্তাহের বেশি লড়ছে । লিবিয়ার পূর্ব চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দুই পক্ষের দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশ এই মুহুর্তে অসংখ্য সৈন্য প্রাণ হারিয়েছে । খলিফা হাফতারের বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে । লিবিয়া নিয়ে ন্যাটো ইথিওপিয়া : নভেম্বরের শুরুতে দেশগুলাের মধ্যে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে মতভেদ এবং লিবিয়ার বিবদমান তাইতে ক্ষমতাসীন দল দুই পক্ষের পেছনে আঞ্চলিক ও তাইগ্নে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট আন্তর্জাতিক সহযােগিতা এই ( টিপিএলএফ ) -এর মধ্যে তীব্র সংকটকে আরও জটিল করে । লড়াই শুরু হয় । ইথিওপিয়ার তুলেছে । লিবিয়ার যুদ্ধেও প্রাণ প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ তাইগ্রের হারিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ , কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনা ঘাঁটিতে বাস্তুহারা হয়েছে কয়েক লাখ ।

নােবেল জয়ী ২০২০


চলতি বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নােবেল বিজয়ী হার্ভে জে অলটার , চার্লস এম রাইস এবং মাইকেল হােওটন সাহিত্যে এ বছর নােবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন কবি লুইস গ্রুক । অর্থনীতিতে দুই মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল মিলগ্রোম ও রবার্ট উইলসন । রসায়নে নােবেল পেয়েছেন দুই নারী গবেষক শারপন্টিয়ের এবং ডাউডনা । পদার্থ বিজ্ঞানে রজার পেনরােস , রাইনহার্ড গেনজেল এবং আন্দ্রেয়া ঘেজ । শান্তিতে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ( ডব্লিউএফপি ) ।

উইজডেন সেরা বেন স্ট্রোকস


এপ্রিল ২০২০ ক্রিকেটের বাইবেল সাময়িকী উইজড়েন । ২০১৯ সালের লিডিং ক্রিকেটার ও বর্ষসেরা । পাঁচ ক্রিকেটারের নাম ঘােষণা করে । লিডিং ক্রিকেটার পুরুষ স্টোকস । ইংল্যান্ড ) , মহিলা : অ্যালিস পেরি ( অস্ট্রেলিয়া ) , টি আন্দ্রে রাসেল ( উইন্ডিজ ) , ক্রিকইনফোর সেরা ওয়ানডে দল : হাশিম আমলা ( দক্ষিণ আফ্রিকা ) , রােহিত শর্মা ( ভারত ) , বিরাট কোহলি ( ভারত ) এবি ডি ভিলিয়ার্স দক্ষিণ আফ্রিকা ) , রস টেলর ( নিউজিল্যান্ড ) মাহেন্দ্র সিং ধােনি ( অধিনায়ক ) ও উইকেটরক্ষক ভারত ) , সাকিব অাল হাসান বাংলাদেশ ।

বিশ্ব জনসংখ্যা রিপাের্ট ৩০ জুন ২০২০


জাতিসংঘ তহবিল ( UNFPA ) বৈশ্বিক জনসংখ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে । রিপাের্টে বলা হয় , বিশ্ব জনসংখ্যা ( ২০২০ ) ৭৭৯.৫০ কোটি । জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ( ২০১৫-২০২০ ) ১.১ % । গড় আয়ু ৭৩ বছর । নারী প্রতি প্রজনন হার ২.৪ জন । সর্বাধিক নারী প্রতি প্রজনন হারের দেশ নাইজার ; ৬.৭ জন । সর্বাধিক জন্মহারের দেশ বাহরাইন ; ৪.৩ % । সর্বনিম্ন জন্মহারের দেশ লিথুয়ানিয়া ১.৫ । জনসংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম দেশ । চীন । জনসংখ্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম ।

মহাকাশে মানুষ পাঠাল স্পেসএক্স 


মহাকাশযাত্রায় ইতিহাস গড়েছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন নির্মাতা কোম্পানি স্পেসএক্স ।। যুক্তরাষ্ট্রের এই বাণিজ্যিক কোম্পানির তৈরি রকেটে চড়ে মহাকাশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের যাত্রা করেছেন নাসার দুই মহাকাশচারী । তারা হলেন দুই নভােচারী ডগ হার্লি এবং বব বেনকেন । কোনাে । ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মহাকাশযানে নভােচারী পাঠানাের ঘটনা এটাই প্রথম । ২০১১ সালে নাসার স্পেশ শাটলযান বন্ধ হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নভােচারী পাঠাতে রাশিয়ার ওপর নির্ভর ছিল । তবে এবার প্রথমবারের মতাে যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশেরই একটি বেসরকারি কোম্পানির তৈরি রকেটের মাধ্যমে নভােচারী পাঠাতে সফল হয় । নাসা এবং স্পেসএক্স উভয়ের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ।

প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের আগুন হংকং


হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থিদের অব্যাহত চীন বিরােধী বিক্ষোভ দমন করতে কর্তৃপক্ষ নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন আনার প্রস্তাব করলে হংকংয়ে এর বিরােধিতা করে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয় । এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গ্রেফতার হয় শত শত মানুষ । থাইল্যান্ড : থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্র আর রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবিতে জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র - ছাত্রী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ চলছে । থাইল্যান্ডের রাজার অসীম ক্ষমতা খর্ব করার দাবি এবং রাজার জন্য জনগণের অর্থ ব্যয়েরও সীমা বেঁধে দিতে চায় শিক্ষার্থীরা । বেলারুস : ৯ আগস্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ শুরু করে বিরােধীরা । দীর্ঘ ২৬ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে এই বিক্ষোভে অংশ নেয় দেশটির অসংখ্য মানুষ । 

চাঁদের মাটি নিয়ে এলাে চীন


১৬ ডিসেম্বর চাঁদের পাথর - মাটি নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে চীনের রকেট চ্যাঙই -৫ ৷ এর ফলে ৪৪ বছর পর আবার চাঁদের মাটি ও পাথর এলাে । পরিকল্পনামাফিক ভাবেই পৃথিবীতে অবতরণ করেছে ক্যাপসুলটি । গত নভেম্বরের শেষের দিকে ৮.২ টন ওজনের চীনা রকেট চ্যাঙই -৫ চাঁদের উদ্দেশে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিল । এই ল্যান্ডারটি চাদের পৃষ্ঠ থেকে পাথর আর মাটির নমুনা সংগ্রহ করে । চঁদ থেকে নিয়ে আসে দুই কিলােগ্রাম পাথর ও মাটি । ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাকডােনেল সেন্টার ফর স্পেস সায়েন্সের ডিরেক্টর ব্রাড জলিফ । সংবাদ সংস্থা এপি - কে বলেছেন , ' চাঁদ থেকে আনা এই মাটি ও পাথর হলাে অমূল্য সম্পদ । চীনের এই চলুভিযানের মেয়াদ ছিল ২৩ দিন । এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও সােভিয়েত ইউনিয়ন চাদের মাটি - পাথর এনেছিল ।

যাদের হারিয়েছি

প্রণব মুখার্জি : ১১ ডিসেম্বর ১৯৩৫ ৩১ আগস্ট ২০২০ । ভারতের ১৩ তম ও একমাত্র বাঙালি রাষ্ট্রপতি ২৫ জুলাই ২০১২-২৫ জুলাই ২০১৭ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মিরিটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । 

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ( অভিনেতা )

১৯ জানুয়ারি ১৯৩৫-১৫ নভেম্বর ২০২০ ।

শেখ খলিফা বিন সালমান আল খলিফা : বাহরাইনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী । ২৪ নভেম্বর ১৯৩৫-১১ নভেম্বর ২০১০ ।

অং রিতা শেরপা : বােতলে ভর্তি অক্সিজেন ছাড়াই সর্বোচ্চ দশবার মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় আরােহণ করেন । ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮-২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ।

জন টার্নার ( কানাডার ১৭ তম প্রধানমন্ত্রী )
৭ জুন ১৯২৯-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ।

সুলতান কাবুস বিন সাঈদ বিন সাঈদ আল সাঈদ  ওমানের সুলতান । মৃত্যু ১০ জানুয়ারি ২০২০ ।

হােসনি মুবারক ( ৪ মে ১৯২৮-২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ) : প্রায় ৩০ বছর ক্ষমতাসীন থাকার পর । ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া মিসরেরর সাবেক প্রেসিডেন্ট তার জন্ম মিসরের নীলনদ ঘেঁষা প্রত্যন্ত মনুফিয়ার গ্রাম । ১৯৭২ সালে তিনি বিমান বাহিনী প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন ।

রুথ বাদার গিলবার্গ : যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় নারী বিচারপতি । ১৫ মার্চ ১৯৩৩-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ।

ল্যারি টেসলার : কম্পিউটার কাট কপি - পেস্ট জনক । ২৪ এপ্রিল । ১৯৪৫-১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ।

ভানু আথাইয়া : ভারতের প্রথম অস্কারজয়ী চলচ্চিত্রকার । ২৮ এপ্রিল ১৯২৯-১৫ অক্টোবর ২০২০ ।

উইলিয়াম ইংলিশ : কম্পিউটার মাউসের সহ উদ্ভাবক ও প্রথম ব্যবহারকারী । ২৭ জানুয়ারি ১৯২৯ ২৬ জুলাই ২০২০ ।

জ্যাভিয়ের পেরেজ দ্য কুয়েলার : তিনি জাতিসংঘের পঞ্চম মহাসচিব । ১৯ জানুয়ারি ১৯২০-৪ মার্চ ২০২০ ।

তথ্যসুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন