এলন মাস্কের ১০ মজার তথ্য অর্থ | Ellon Mask 10 funny information

বৈদ্যুতিক গাড়ির কোম্পানি টেসলার মালিক এলন মাস্ক এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী । তবে তাঁর শুরুটা এখনকার মতাে অত জমকালাে ছিল না । বলা যায় , সেটা ছিল বেশ সাদামাটা । কলেজজীবন থেকেই তিনি অত্যন্ত দৃঢ়চেতা মানুষ । সামনে যত প্রতিবন্ধকতা এসেছে , তিনি সেগুলাে অতিক্রম করেই আজকের জায়গায় এসেছেন । ২০২০ সাল থেকে যেন তার উল্কার গতিতে উত্থান হচ্ছে । মূলত টেসলার শেয়ারের দাম তরতর করে বেড়ে যাওয়ায় তার কপালও খুলেছে বিদ্যুৎগতিতে । গত বছর টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭৪৩ শতাংশ এবং মাস্কের সম্পদ বেড়েছে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বা ১৫ হাজার কোটি ডলার । এমনকি আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসকে হটিয়ে তিনি এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী । সম্প্রতি এক দিনে টেসলার শেয়ারের দাম ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি সম্পদের নিরিখে বেজোসকেও ছাড়িয়ে যান । এখন তার সম্পদের পরিমাণ ১৯৭ বিলিয়ন বা ১৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার । নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমাজনের জেফ বেজোস এখন তার চেয়ে ১৫ বিলিয়ন ডলার বা ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার পিছিয়ে আছেন । মাস্ক সম্পর্কে প্রয়ােজনীয় ও মজার বেশ কিছু তথ্য। 


  ১. ১৯৭১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন মাস্ক । ১৭ বছর বয়সে তিনি কানাডায় চলে যান । বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা , কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ।

২. এখন পর্যন্ত মাস্ক আটটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন — টেসলা , স্পেস এক্স , হাইপারলুপ , ওপেন এআই , নিউরালিঙ্ক , দ্য বােরিং কোম্পানি , জিপ ২ , পে পল । 

৩. ছেলেবেলা থেকেই মাস্ক প্রযুক্তির পােকা । শােনা যায় , ৯ বছর বয়সেই তিনি গােটা এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা পড়ে ফেলেছিলেন । কম্পিউটার কোডিং তিনি । নিজে নিজেই শিখেছেন । ১২ বছর বয়সে তিনি ‘ ব্লাস্টার ' নামে এক ভিডিও গেম বানিয়ে ফেলেন । সেই গেম তিনি বিক্রিও করেছিলেন ।

৪. ১৫ বছর বয়সে মাক্স মার্শাল আর্ট ও রেসলিং শেখেন। শৈশবে মাক্স ব্যাপক বুলিং বা উৎপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। এমনকি একবার স্কুলের ছাত্ররা তাকে নির্মমভাবে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল।

৫. বলা হয় , আয়রন ম্যানের টনি স্টার্ক চরিত্র তার আদলেই তৈরি । এমনকি আয়রন ম্যান ২ - এ মাস্ক ছােট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন । এ ছাড়া মাস্ক দ্য সিম্পসন , বিগ ব্যাং থিওরি , সাউথ পার্ক এর মতাে সিরিজে অভিনয় করেছেন ।

৬. মাস্ক ইউপেন থেকে স্নাতক করেছেন এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন । কিন্তু পিএইচডিতে ভর্তি হওয়ার দুই দিনের মধ্যে তিনি পড়াশােনা ছেড়ে জিপ ২ করপােরেশন চালু করেন ।

৭. স্পেস এক্স রকেটের সিংহভাগ মালিক ও প্রধান নির্বাহী হওয়ার পরও মাস্ক বেতন 

৮. একবার হতাশ হয়ে টেসলা বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন এলন মাস্ক ।

৯. ছাত্রজীবনে একসময় মাস্ক দিনে এক ডলারে খাদ্য ব্যয় নির্বাহ করতেন । এক রেডিও সাক্ষাঙ্কারে মাস্ক সেই কাহিনি শুনিয়েছিলেন , কীভাবে সুপারস্টোর থেকে ছাড়ে খাবার কিনে তিনি জীবন ধারণ করেছেন । বলেছিলেন , তখন আমি মূলত হটডগ আর কমলা খেতাম । কিন্তু হটডগ আর কদিন খাওয়া যায় । এ ছাড়া পান্তা , কাচ মরিচ বা ক্যাপসিকাম ও সস খেয়েও কীভাবে প্রাণ ধারণ করেছেন , সেই কাহিনিও শুনিয়েছেন ।

১০. মাস্কের ছয় সন্তান । প্রথম স্ত্রীর ঘরে তার পাঁচ সন্তান । ২০২০ সালে তাঁর ষষ্ঠ সন্তান জন্ম নেয় । এই ছেলের নাম এক্স এই এ-১২ মাস্ক ।