বড়া চাদ উঠেছিলো গগনে ছবির সত্যতা স্বীকার রবিন্দ্রভারতি

বিশ্বভারতীর বসন্তোৎসবের ছবি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার সকালে সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন চন্দননগর ও চুঁচুড়ার বাসিন্দা এবং তারা শ্রীরামপুর কলেজের ছাত্রী। অবশেষে এই কথা স্বীকার করল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিন কর্তৃপক্ষ জানায়, অভিযুক্তরা চন্দননগরের বাসিন্দা। আর সেই ছবিগুলিও সত্য।
২০১৯-কে হারিয়ে স্বমহিমায় ২০২০ এর বসন্ত উৎসব।


অন্যদিকে বিকৃতরুচির রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারির
দাবী উঠল রবীন্দ্রভারতী প্রাঙ্গণে। ২০১৯-এ বি.টি
রোডে বসন্তোৎসবে মদ্যপদের দাপাদাপি এবং
যেখানে সেখানে মাতাল হয়ে পড়ে থাকার
স্মৃতিকে ভুলে ২০২০তে রবীন্দ্রভারতী এক অনন্য
নজির গড়ল।

এবারের বসন্তোৎসবের উৎসাহ এমন এক জায়গায় এসে পৌঁছে গিয়েছিল শেষ মুহূর্তে যে বিশেষ পাশের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ তা আর কাজে লাগেনি। বসন্ত উৎসবে মানুষ নিজেদের দুর্গোৎসবের ন্যায় আনন্দ মিলে মিশে একাকার হয়ে উঠেছিল। অনেকের মতে শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতীর অতীতের সব বসন্তোৎসবের রেকর্ডকে হারিয়ে দিয়েছে কলকাতা বিটি রোডের রবীন্দ্রভারতীর এবারের বসন্তোৎসব। যা এককথায় অকল্পনীয়।
তবে সামান্য তাল কেটেছিল কিছু মহিলা রোদ্দুর
রায়ের গাওয়া ‘বিকৃত’ রবীন্দ্র সংগীতের লাইনের
কয়েকটি শব্দকে পিঠে লিখে অনুষ্ঠানে
ঘোরাঘুরি শুরু করলে সাধারণ মানুষ থেকে
রবীন্দ্রভারতীর শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ শুরু
করেন। বিকৃতরুচির রোদ্দুর রায়ের সেই গানের
অংশ নিজেদের গায়ে লিখে ঘোরাঘুরি শুরু করতেই তাদের গ্রেফতারির দাবিতে সোচ্চার হন কেউ কেউ। এরপরই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের মহিলা পুলিশকর্মীরা তাদের অনুষ্ঠান চত্বর থেকে বের করে দেন। রবীন্দ্র ভারতীর শিক্ষার্থী থেকে অধ্যাপক, অধ্যাপিকা সহ সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগড়ে জানান কেন সরকার আজও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না এই রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে?

তথ্যসুত্রঃকলকাতা টাইম ২৪