ফেসবুকে নোবেল করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি খোলা চিঠি

আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আর যারা নিয়মিত ট্রিকজানো এর সাথে থাকেন তাদের ভালো থাকারই কথা কারণ, এই প্লাটফর্ম থেকে আপনারা অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারেন।আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ফেসবুকে নোবেল করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি খোলা চিঠি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপেষু,
খোদা না করুক, ধরুন আজ থেকে ঠিক ১ মাস পর।
সরকারি হিসেবে দেশে করোনা আক্রান্ত ৫০ হাজারে পৌছেছে। বাস্তবে সংখ্যাটা কয়েক গুন। মৃত্যুর সংখ্যা কয়েক হাজার। হাসপাতালে হাজার হাজার রোগীর ভীড়। ডাক্তারেরাও করোনায় আক্রান্ত। চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসা সরঞ্জামাদি নেই। নেই করোনা সনাক্তকরণ কিট। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। নেই চিকিৎসকদের সুরক্ষার
জন্য উপযুক্ত পোষাক। চারিদিকে হাহাকার। মৃত্যুর
আতঙ্ক। করোনা হলেই নিশ্চিত মৃত্যু। মানুষ ঘর থেকে
বের হচ্ছে না। বৃদ্ধ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটাও নিরাপদ নয়। উপড়ে পড়ছে রোগী। চারিদিকে শুধু লাশ আর লাশ।
শহর জুড়ে আতঙ্ক। রাস্তায় মাঝেমাঝে পড়ে আছে মানুষের লাশ। কেউ কাছে এগোচ্ছে না। পচেঁ যাচ্ছে, দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার চোখেমুখে করোনার আতঙ্ক। চারিদিকে হাহাকার। ক্ষোভ, ঘৃনা, ভয়ে গ্রাস করেছে পুরো জাতীকে। বাজারের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। কোন
আমাদানি নেই। বন্ধ হয়ে আছে পরিবহণ ব্যবস্থা। চালের কেজি ৫০০ টাকা। ডালের কেজি ১০০০ টাকা। সবাই ঘরে বন্ধ। মানুষ না খেয়ে মরে যাচ্ছে। কতদিন না খেয়ে থাকবে? এরপর সবাই দা, ছুরি বটি নিয়ে নেমে যাবে লুটপাট- ডাকাতি করতে। এক কেজি চালের জন্য মানুষ মানুষকে মেরে ফেলতে দ্বিধাবোধ করছে না। পরিস্থিতিটা কেমন হবে মাননীয়া? ঘাবড়ে গেলেন? জ্বি, পরিস্থিতিটা এমনই হবে।
আপনি গন ভবনে বসে বসে শুধু নিউজ দেখবেন। আর
বলবেন ইস্ মানুষের কি কষ্ট! ভাইরাস ছাত্রলীগ কিংবা জামাত শিবির চেনে না। ভাইরাস চেনে না, জাতীর পিতার সপ্ন অথবা জিয়ার অঙ্গীকার। সবাইকে ধরবে। কেউকে ছাড়বে না। আপনার দলের বুদ্ধিমান প্রানীরা ইতিমধ্যে আপনাকে ভাইরাস মোকাবেলার জন্য ক্রেডিট দিয়ে দিছে। আপনি আপনার পিতার জন্মদিন পালন করছেন খুব ভাল কথা। যে পিতারে ধুয়ে আপনারা চোদ্দগুষ্টি একটি খাচ্ছেন তার জন্মদিন পালন করেছেন এটা দোষের কিছুই না, আপনার জায়গা আমি কিংবা অন্য কেউ থাকলে এটাই করতাম। এবার থামেন, অনেক তো হইছে। আর কি কি করা বাকী আছে আপনার? আপনার বিপক্ষে যারা যারা ছিলো সফল ভাবে সবাইকে দমন করেছেন । আপনার পিতা সহ পরিবারের সবার মোটামুটি খুনের বদলা নিছেন।
খুবই ভাল কথা। এপ্রিসিয়েট করছি। কোন অভিযোগ
নাই। এবার জনগণের জন্য কিছু করেন। সেই কাজটা
এখনই করেন, যেই কাজটা আরো ১ মাস পরে করা
করবেন আপনি। চোখটা বন্ধ করে অনুধাবন করেন।
কারো রেহাই নাই। সব শেষ। আমাদের দেশ এই রোগ
মোকাবেলা করার কতটুকু ক্ষমতা রাখে সেটা সবাই
জানে। সাধারন ডেঙ্গুর ভয়াবহতা আমরা কেউ ভুলি
নাই। বাংলাদেশে মড়ক লাগলে কয়েক কোটি লোক
মারা যাবে সেটা আপনিও জানেন। তখন কে খাবে আপনার এত উন্নয়ন? কাকে শোনাবেন জাতীর পিতার এত সব সপ্নের কথা?

আমরা বেঁচে থাকতে চাই, উপভোগ করতে চাই
আপনার এতসব উন্নয়ন আর শুনতে চাই জাতীর পিতার
সব সপ্নের কথা। সেই সুযোগটা চাইছি। মরতে চাইনা এখনই।

আল্লাহর দোহাই আপনি এখনই পদক্ষেপ নিন। আমরা আমজনতা আপনাকে ''মাদার অব করোনা
মুক্তি'' টাইটেল দেয়ার জন্য প্রস্তুত।
ইতি
ভবিষ্যৎকালে করোনায় আক্রান্ত এক রোগী।
(সম্ভব হলে লেখাটা শেয়ার করুন। যতক্ষণ না মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর চোখে না পড়ে।)
-----তমাল মোহাম্মাদী
তথ্য সুত্রঃফেসবুক নিউজ